০৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন আসিফ মাহমুদ।

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ১০:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৫০১৬ সময় ভিজিটর

মোঃ জহুরুল ইসলাম
নিজ সংবাদ ঃ।
কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন তারা।

এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আবরার ফাহাদ শুধু একটি নাম নয়, আবরার ফাহাদ হচ্ছেন আগ্রাসন বিরোধী সংগ্র্রামের চেইন। তাকে আজীবন স্মরণ করতে কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুগ্মসচিব আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, উদ্বোধক আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।
বক্তারা বুয়েটে আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যার বর্ণনা করেন।
এর আগে সকালে কুমারখালীর কয়া গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পরে সেখানে আবরার ফাহাদের নামে নির্মিত মসজিদের সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়া দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এই উপদেষ্টা।

২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ রাসেল নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবরার ফাহাদের নামে নামকরণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর হত্যা মামলায় বুয়েটের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সূত্র – আপডেট কুষ্টিয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন আসিফ মাহমুদ।

আপলোডের সময় ১০:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

মোঃ জহুরুল ইসলাম
নিজ সংবাদ ঃ।
কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন তারা।

এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আবরার ফাহাদ শুধু একটি নাম নয়, আবরার ফাহাদ হচ্ছেন আগ্রাসন বিরোধী সংগ্র্রামের চেইন। তাকে আজীবন স্মরণ করতে কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুগ্মসচিব আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, উদ্বোধক আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।
বক্তারা বুয়েটে আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যার বর্ণনা করেন।
এর আগে সকালে কুমারখালীর কয়া গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পরে সেখানে আবরার ফাহাদের নামে নির্মিত মসজিদের সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়া দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এই উপদেষ্টা।

২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ রাসেল নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবরার ফাহাদের নামে নামকরণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর হত্যা মামলায় বুয়েটের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সূত্র – আপডেট কুষ্টিয়া।