০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জের জমজমাট ইফতার বাজার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ১০:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৫০১৩ সময় ভিজিটর

রাতুল আহম্মেদ গোপালগঞ্জ।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত , রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজাদারদের জন্য দুটি সুসংবাদ রয়েছে। একটি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ। অন্যটি ইফতারের সময়।
আর সেকারণেই রোজাদারদের ইফতার নিয়ে থাকে নানা আয়োজন। থাকে হরেকরকম ইফতার আইটেম দিয়ে ইফতার পরিবেশনের আয়োজন।
রমজান এলেই বাসা-বাড়িতে যেমন ইফতার তৈরির হিড়িক পড়ে। তেমনি রমজানকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের থাকে ইফতার তৈরি ও বিক্রির আয়োজন ।
সকাল থেকেই দোকানিদের শুরু হয় ইফতার সামগ্রী তৈরির কর্মযজ্ঞ। দুপুরের পর থেকেই রেস্তোরাঁ বা দোকানের সামনে হরেকরকম ইফতার সামগ্রীর পশরা সাজিয়ে বসে তারা।
আর তখন থেকেই শুরু হয় বেচা-বিক্রি।
এবারের রমজানের শুরুর দিকেই জমে উঠেছে গোপালগঞ্জের ইফতার বাজার। প্রতিদিন বিকেল থেকে ইফতারের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক আর ক্রেতাদের ক্রয় উৎসবে জমজমাট হয়ে উঠেছে ইফতার বাজার।শহরের পোস্ট অফিস মোড়, কোর্ট এলাকা, চৌরঙ্গী, কাঁচা বাজার, পুলিশ লাইন, লঞ্চঘাট, পাচুড়িয়া, মেডিকেল কলেজ মোড় সহ বিভিন্ন বাজার ও পাড়ামহল্লায় অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা ইফতারির দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকেই তৈরি করা হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের ও ভিন্ন আইটের সব ইফতার । মৌসুমি ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ, মিষ্টি ও খাদ্যদ্রব্যের দোকানের সামনে কাপড় টানিয়ে বসেছে বাহারি এসব ইফতার। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ইফতার সামগ্রী কিনতে দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।
সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, টিকা কাবাব, নার্গিস চাপ, শাহী জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, ডিম চপ, দই বড়া, হালিম, নূরানি লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদাম শরবত, পরোটা, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ফালুদা ও আনারস সহ রকমারি সব ইফতার আইটেম অভিজাত রেস্তোরা ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ইফতার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। এর মধ্যে ছোলা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, জিলাপি ১৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, বুন্দিরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পিয়াজু ১৮০ থেকে ২০০, জালি কাবাব বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পিস, ঘোল ১০০ টাকা কেজি, খেজুর প্রকার ভেদে ২৫০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা কেজি, কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালি, মুড়ি দেশি ৯০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়াও চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু প্রতিটি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়।পুলিশ লাইন এলাকার ইফতার বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন,
কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় তিনি ইফতার বিক্রি করছেন।
বিকেল থেকেই ক্রেতারা ইফতার কিনতে দোকানে ভীড় জমান। বেচা-কেনা বেশ ভালো হচ্ছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে, ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও হালিম কোর্ট এলাকায় ইফতার কিনতে আসা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে এখান থেকে ইফতার নিয়ে যান। বাসায় ইফতার আইটেম তৈরি করলেও বাড়ির বাচ্চারা এসব ইফতার বেশ পছন্দ করে। তাই বাসায় ফেরার পথে এগুলো নিয়ে যাই। পোস্ট অফিস মোড়ে ইফতার কিনতে আসা ইকরাম হোসেনের কাছে এসব ইফতার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রেতারা সবাই হ্যান্ড গ্লোভস পড়েই যথেষ্ট হাইজিন মেইনটেইন করে ইফতার বিক্রি করছেন। আমি মনে করি এসব ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত। তাই নিশ্চিন্তে এগুলো কিনছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

গোপালগঞ্জের জমজমাট ইফতার বাজার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

আপলোডের সময় ১০:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

রাতুল আহম্মেদ গোপালগঞ্জ।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত , রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজাদারদের জন্য দুটি সুসংবাদ রয়েছে। একটি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ। অন্যটি ইফতারের সময়।
আর সেকারণেই রোজাদারদের ইফতার নিয়ে থাকে নানা আয়োজন। থাকে হরেকরকম ইফতার আইটেম দিয়ে ইফতার পরিবেশনের আয়োজন।
রমজান এলেই বাসা-বাড়িতে যেমন ইফতার তৈরির হিড়িক পড়ে। তেমনি রমজানকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের থাকে ইফতার তৈরি ও বিক্রির আয়োজন ।
সকাল থেকেই দোকানিদের শুরু হয় ইফতার সামগ্রী তৈরির কর্মযজ্ঞ। দুপুরের পর থেকেই রেস্তোরাঁ বা দোকানের সামনে হরেকরকম ইফতার সামগ্রীর পশরা সাজিয়ে বসে তারা।
আর তখন থেকেই শুরু হয় বেচা-বিক্রি।
এবারের রমজানের শুরুর দিকেই জমে উঠেছে গোপালগঞ্জের ইফতার বাজার। প্রতিদিন বিকেল থেকে ইফতারের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক আর ক্রেতাদের ক্রয় উৎসবে জমজমাট হয়ে উঠেছে ইফতার বাজার।শহরের পোস্ট অফিস মোড়, কোর্ট এলাকা, চৌরঙ্গী, কাঁচা বাজার, পুলিশ লাইন, লঞ্চঘাট, পাচুড়িয়া, মেডিকেল কলেজ মোড় সহ বিভিন্ন বাজার ও পাড়ামহল্লায় অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা ইফতারির দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকেই তৈরি করা হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের ও ভিন্ন আইটের সব ইফতার । মৌসুমি ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ, মিষ্টি ও খাদ্যদ্রব্যের দোকানের সামনে কাপড় টানিয়ে বসেছে বাহারি এসব ইফতার। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ইফতার সামগ্রী কিনতে দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।
সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, টিকা কাবাব, নার্গিস চাপ, শাহী জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, ডিম চপ, দই বড়া, হালিম, নূরানি লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদাম শরবত, পরোটা, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ফালুদা ও আনারস সহ রকমারি সব ইফতার আইটেম অভিজাত রেস্তোরা ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ইফতার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। এর মধ্যে ছোলা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, জিলাপি ১৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, বুন্দিরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পিয়াজু ১৮০ থেকে ২০০, জালি কাবাব বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পিস, ঘোল ১০০ টাকা কেজি, খেজুর প্রকার ভেদে ২৫০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা কেজি, কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালি, মুড়ি দেশি ৯০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়াও চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু প্রতিটি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়।পুলিশ লাইন এলাকার ইফতার বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন,
কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় তিনি ইফতার বিক্রি করছেন।
বিকেল থেকেই ক্রেতারা ইফতার কিনতে দোকানে ভীড় জমান। বেচা-কেনা বেশ ভালো হচ্ছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে, ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও হালিম কোর্ট এলাকায় ইফতার কিনতে আসা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে এখান থেকে ইফতার নিয়ে যান। বাসায় ইফতার আইটেম তৈরি করলেও বাড়ির বাচ্চারা এসব ইফতার বেশ পছন্দ করে। তাই বাসায় ফেরার পথে এগুলো নিয়ে যাই। পোস্ট অফিস মোড়ে ইফতার কিনতে আসা ইকরাম হোসেনের কাছে এসব ইফতার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রেতারা সবাই হ্যান্ড গ্লোভস পড়েই যথেষ্ট হাইজিন মেইনটেইন করে ইফতার বিক্রি করছেন। আমি মনে করি এসব ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত। তাই নিশ্চিন্তে এগুলো কিনছি।