০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল আটক। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ০৭:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ৫০৩৩ সময় ভিজিটর

মোঃ জহুরুল ইসলাম
নিজ সংবাদ ঃ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের দুই এএসআই নিহতের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ওই দুই পুলিশ অফিসার পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়। নিহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল শেখ(৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজবাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ইয়ারুল শেখ উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শেখের ছেলে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. সোলাইমান শেখ  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর (সোমবার) ভোরে আসামি ধরতে গিয়ে কুমারখালীর বেড়কালোয়া এলাকার দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়। তাঁরা হলেনÑ কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন। পরের দিন দুপুরে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারও একদিন পর সকালে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এ ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার অভিযোগে কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ইয়ারুল শেখসহ ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। একই ঘটনায় অভিযানে পুলিশের সাথে থাকা কয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম বাদী হয়ে ৩৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুমারখালী থানায় আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন,ইয়ারুল দুই পুলিশ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামী। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আরো পাঁচটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি নৌ পুলিশের তদন্ততাধীন রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল আটক। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

আপলোডের সময় ০৭:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

মোঃ জহুরুল ইসলাম
নিজ সংবাদ ঃ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের দুই এএসআই নিহতের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ওই দুই পুলিশ অফিসার পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়। নিহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল শেখ(৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজবাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ইয়ারুল শেখ উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শেখের ছেলে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. সোলাইমান শেখ  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর (সোমবার) ভোরে আসামি ধরতে গিয়ে কুমারখালীর বেড়কালোয়া এলাকার দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়। তাঁরা হলেনÑ কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন। পরের দিন দুপুরে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারও একদিন পর সকালে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এ ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার অভিযোগে কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ইয়ারুল শেখসহ ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। একই ঘটনায় অভিযানে পুলিশের সাথে থাকা কয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম বাদী হয়ে ৩৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুমারখালী থানায় আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন,ইয়ারুল দুই পুলিশ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামী। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আরো পাঁচটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি নৌ পুলিশের তদন্ততাধীন রয়েছে।