১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে গণমাধ্যম কর্মীকে বেআঈনীভাবে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কোর্টে চালান।

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ০৩:০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ৫০২৯ সময় ভিজিটর

নিজস্ব প্রতিনিধি :

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির নাজিরপুর উপজেলার সভাপতি আল মামুনকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে জানা যায়। গত ০৭-০৩-২০২৩ইং,রোজ শুক্রবার সময় আনুমানিক বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় সিভিল পোশাকে মাটিভাংগা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমদাদুল হক সহ এক পুলিশ সদস্য তারাবুনিয়া বাজার থেকে গনমাধ্যম কর্মী মোঃ আল মামুনকে কোন কথা ছাড়াই হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে মটর সাইকেলে উঠান। আল মামুন তাদের কাছে কি অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা তাকে মিথ্যা বলেন যে,আপনার নামে অভিযোগ আছে। মোঃআল মামুন নিজে একজন গনমাধ্যম কর্মী ও ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি নাজিরপুর উপজেলার সভাপতি সে পরিচয় দেন এবং তাহার কাছে থাকা বৈধ পরিচয়পত্র দেখান এবং তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আছে সেটা দেখতে চান।কিন্তু তারা কোন অভিযোগের কপি দেখাতে না পেরে তরাহুরো করে মটর সাইকেল টি চালান এতে পিছন থেকে আইসি এমদাদুল হক পোড়ে যেতে যায়। তারপরে তিনি পুনরায় পিছনে উঠেন এবং মোঃ আল মামুনকে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।তাৎহ্মনিক খবরটি শুনে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে যে,কি মামলায় / অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? তিনি বলেন এটা নাজিপুর থানার এস আই আতিয়ার রহমান বলতে পারবে অথবা ওসি কে কল করলে তিনি বলতে পারেন। পরবর্তীতে নাজিরপুর থানার এস আই মোঃ আতিয়ার রহমান ( বিপি-৭৭৯৬০৭৭১৪০), তাকে নাজিরপুর থানায় নিয়ে যান।বিষয়টি সম্পর্কে নাজিরপুর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ ফরিদ ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে কলকরে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাজনৈতিক ব্যাপারে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে,এছাড়াও তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা আউয়াল সাহেবের একান্ত কাছের লোক ছিলেন,তার সাথে থাকা ছবি দেখান। কিন্তু জানাযায় তার নামে বর্তমানে কোন বিষয়ে নাজিরপুর থানায় কোন অভিযোগ নেই, তিনি কোন মামলার এজাহারভূক্ত কিংবা ওয়ারেন্টেরও আসামী নয়।রাজনীতি মানুষের অধিকার, সেটা সে অনেক আগে একটা সময়ে একটা ইউনিয়নে ছোট পর্যায়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তিনি ৫ তারিখের পরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে কোন রাজনৈতিক মিছিল মিটিং এমনকি কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেন নি।তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারের পহ্মে কার্যক্রম করছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে পিরোজপুর (এসপি) পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের মহোদয় কে মুঠোফোনে অবগত করা হয়।কিন্তু দেখা যায় শুক্রবার সারারাত তাকে থানায় রেখে পরেরদিন
সকাল আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় বিভিন্ন প্রকারের মামলা দিয়ে, যার ধারা হলো-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬(২) The penal code.১৮৬০ মামলায় অভিযুক্ত করে তাকে আদালতে প্রেরন করেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, যে অভিযোগ উল্লেখ করে তাকে দায়ী করে অপরাধী করা হয়েছে সেটা বিগত সময়ে পিবিআইয়ের দ্বায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল, সেটা নিষ্পত্তিও হয়েগিয়েছিলো,কিন্তু ৫ ই আগস্টের পরে পুনরায় সেটাকে চালু করা হয়েছে।
এভাবে যদি কোন একজন নিরঅপরাধ মানুষকে বিশেষকরে একজন গণমাধ্যম কর্মী কে কোন কুচক্রী মহলের রসানলে মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি নিরাপত্তা রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশে।

সর্বশেষ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার পহ্ম থেকে মোঃ আল মামুনের বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিশেষ বিবেচনা পূর্বক তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান সংস্থাটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে গণমাধ্যম কর্মীকে বেআঈনীভাবে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কোর্টে চালান।

আপলোডের সময় ০৩:০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি :

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির নাজিরপুর উপজেলার সভাপতি আল মামুনকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে জানা যায়। গত ০৭-০৩-২০২৩ইং,রোজ শুক্রবার সময় আনুমানিক বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় সিভিল পোশাকে মাটিভাংগা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমদাদুল হক সহ এক পুলিশ সদস্য তারাবুনিয়া বাজার থেকে গনমাধ্যম কর্মী মোঃ আল মামুনকে কোন কথা ছাড়াই হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে মটর সাইকেলে উঠান। আল মামুন তাদের কাছে কি অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা তাকে মিথ্যা বলেন যে,আপনার নামে অভিযোগ আছে। মোঃআল মামুন নিজে একজন গনমাধ্যম কর্মী ও ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি নাজিরপুর উপজেলার সভাপতি সে পরিচয় দেন এবং তাহার কাছে থাকা বৈধ পরিচয়পত্র দেখান এবং তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আছে সেটা দেখতে চান।কিন্তু তারা কোন অভিযোগের কপি দেখাতে না পেরে তরাহুরো করে মটর সাইকেল টি চালান এতে পিছন থেকে আইসি এমদাদুল হক পোড়ে যেতে যায়। তারপরে তিনি পুনরায় পিছনে উঠেন এবং মোঃ আল মামুনকে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।তাৎহ্মনিক খবরটি শুনে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে যে,কি মামলায় / অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? তিনি বলেন এটা নাজিপুর থানার এস আই আতিয়ার রহমান বলতে পারবে অথবা ওসি কে কল করলে তিনি বলতে পারেন। পরবর্তীতে নাজিরপুর থানার এস আই মোঃ আতিয়ার রহমান ( বিপি-৭৭৯৬০৭৭১৪০), তাকে নাজিরপুর থানায় নিয়ে যান।বিষয়টি সম্পর্কে নাজিরপুর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ ফরিদ ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে কলকরে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাজনৈতিক ব্যাপারে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে,এছাড়াও তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা আউয়াল সাহেবের একান্ত কাছের লোক ছিলেন,তার সাথে থাকা ছবি দেখান। কিন্তু জানাযায় তার নামে বর্তমানে কোন বিষয়ে নাজিরপুর থানায় কোন অভিযোগ নেই, তিনি কোন মামলার এজাহারভূক্ত কিংবা ওয়ারেন্টেরও আসামী নয়।রাজনীতি মানুষের অধিকার, সেটা সে অনেক আগে একটা সময়ে একটা ইউনিয়নে ছোট পর্যায়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তিনি ৫ তারিখের পরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে কোন রাজনৈতিক মিছিল মিটিং এমনকি কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেন নি।তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারের পহ্মে কার্যক্রম করছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে পিরোজপুর (এসপি) পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের মহোদয় কে মুঠোফোনে অবগত করা হয়।কিন্তু দেখা যায় শুক্রবার সারারাত তাকে থানায় রেখে পরেরদিন
সকাল আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় বিভিন্ন প্রকারের মামলা দিয়ে, যার ধারা হলো-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬(২) The penal code.১৮৬০ মামলায় অভিযুক্ত করে তাকে আদালতে প্রেরন করেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, যে অভিযোগ উল্লেখ করে তাকে দায়ী করে অপরাধী করা হয়েছে সেটা বিগত সময়ে পিবিআইয়ের দ্বায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল, সেটা নিষ্পত্তিও হয়েগিয়েছিলো,কিন্তু ৫ ই আগস্টের পরে পুনরায় সেটাকে চালু করা হয়েছে।
এভাবে যদি কোন একজন নিরঅপরাধ মানুষকে বিশেষকরে একজন গণমাধ্যম কর্মী কে কোন কুচক্রী মহলের রসানলে মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি নিরাপত্তা রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশে।

সর্বশেষ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার পহ্ম থেকে মোঃ আল মামুনের বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিশেষ বিবেচনা পূর্বক তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান সংস্থাটি।