
গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রুপালী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোঃ মধুমতি সার্ভিস সেল এর (এসজিএম) সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু সাঈদ সহ মাঠকর্মী লাভলী, হালিমা,ও শারমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী গ্রাহকেরা তাদের কষ্টে উপার্জিত টাকা ফেরত চেয়ে এবং উক্ত মধুমতি সার্ভিস সেলের প্রতারকদের বিচারের দাবি জানিয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।শুধু তাইনয় ভুক্তভোগী রা টুঙ্গিপাড়া (ইউএনও)উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার, এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে তারা উক্ত অফিসের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু সাঈদ ও তার সহকর্মী মাঠকর্মীদের নাম প্রকাশ পূর্বক তাদের সাথে প্রতারণা এবং টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেন যে, আমাদের কে ভূল বোঝায়ে বিভিন্ন সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের পলিসি করিয়ে একদুই কিস্তির টাকার রশিদ দিলেও পরবর্তীতে দেওয়া কিস্তির টাকার কোন রশিদ না দিয়ে ভূয়া ভাউচার দিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন।ভুক্তভোগীরা হলেন,১।,মনজিলা আক্তার স্বামী :- জাহিদুল হক সাং দহ্মিন ঝনঝনিয়া,মাসিক ১০০০ -টাকা ডিপিএস করে ৬০০০ /- টাকার কোন রশিদ / রিসিট দেয়নি।পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রকারের চাপ দেওয়ায় ৪০০০/- টাকা দেয় বাকি ২০০০/- টাকা এখনও দেয়নি।মোবাইল নাম্বার ০১৭২৭৭৪০৪৮৭.
২।, হাফিজা বেগম, স্বামী ;- রেজাউল শেখ, সাং গিমাডাঙ্গা ৩ বছরের কথা বলে ১৫ বছরের মেয়াদি বীমা করিয়ে দিয়ে প্রতারনা করেন সাঈদ ও লাভলী।প্রথম বছরের জমা টাকার রশিদ দেয় কিন্তু বাকী ২ বছরের জমা টাকার রশিদ দেয়না।মোবাইল –০১৯২১৮৭৮৭৮৫.
৩।/ নাজমা বেগম
স্বামীঃ আলীম মোল্লা।
সাং- গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
বীমাপত্র নং- ২০২৮০৫৫২৪৭-৬ , বিমার তারিখঃ ৩০-১২-২০২০
৩ বছরের কথা বলে ১৫ বছরের বীমা পলিসি করিয়ে প্রতারণা করেন।
প্রতি বছর ৬২৭৯/-টাকা করে জমা দেয় কিন্তু রিসিট দেন না সাঈদ ও মাঠকর্মী লাভলী।
বার বার রিসিট চাইলে ও রিসিট দেওয়া হয়না তাকে । অফিসে গেলে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সাঈদ বলে আমার মাঠকর্মীর কাছে টাকা আমি এনে জমা করে দিবানি।
৪/ নামঃ মাসরুখা বেগম
পিতাঃ হাচান বিশ্বাস
সাং- গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
৩ বছরের কথা বলে ১৫ বছরের বীমা পলিসি করিয়ে প্রতারণা করেন। তিনি বলেন
মাঠকর্মী লাভলী বীমা পলিসি করে দেন ৬০০০হাজার টাকা করে।
৩ বছর টাকা জমা দেওয়ার পর একটা ও রিসিট দেয় নি।
মোবাইলঃ ০১৪০৫৫৭৫৩১৩,
সাঈদ সাহেব ও মাঠকর্মী কেউ ফোন দিলে রিসিভ করে না বলেন তিনি।
৫/ নামঃ আমেনা বেগম
পিতাঃ মৃতঃ রকমান মোল্লা
সাং- গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭৮৭৯৫১৬৫৪
৩ বছর টাকা জমা দেওয়ার পর একটা ও রিসিট দেয় নি।তিনি বলেন, তিনি বলেন আমি ৩ বছর টাকা জমা করি ১৮০০০/- হাজার টাকা, প্রতি বছর ৬০০০ /-হাজার টাকা করে ।
প্রথম বছরের রিসিট দেয়। পরের দুই বছরের রিসিট দেয় না।
সাঈদ সাহেব ও মাঠকর্মী কেউ ফোন করলে রিসিভ করে না।
৬/ শামিমা বেগম
স্বামীঃ সাইফুল রহমান মন্ঠু মিয়া
সাং- বর্নি , টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৯০৮৩৭৯৩৫৯. তিনি বলেন আমাদের
একই পরিবারে ৬ টা বীমা পলিসি করে দেন সাঈদ সাহেব বিভিন্ন প্রকারের লোভ দেখিয়ে। কিন্তু আমরা টাকা জমা দেই কোন
রিসিট চাইলে রিসিট দেয় না , এবং নানা অজুহাত দেখায় তারপর থেকে আর ফোন রিসিভ করে না।
আমার স্বামীর ভোটার আইডি কার্ডে বয়স বেশি থাকার পরে ও বিমা পলিসি করিয়ে দেন এবং পলিসি করার ১ বছর পর আমার স্বামী মারা যান পরে মৃত্যুদাবীর টাকা চাইলে আমাকে ২ বছর পযন্ত ঘুরায় এবং টাকা দেয় না।
৭/ নামঃ রিশমা বেগম
স্বামী; ইকরামুল হক
সাং- বর্নি , টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৯৫২৬৩০৬৮২ , তিনি বলেন আমি
প্রতি বছর ১২০০০ /-হাজার টাকা করে জমা দিই কিন্তু রিসিট পাই না ও আমার নামে একাউন্টে টাকা জমা হয় না।
৩ বছর পর্যন্ত টাকা জমা করি কিন্তু একটা ও রিসিট দেয় না ।
৮/ রাজিয়া সুলতানা
পিতা” ইকরামুল হক
সাং- বর্নি , টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭৯৮০৩১২৪১, তিনি বলেন আমাকে
৩ বছর বিমা পলিসি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ বছর মেয়াদি করে দেন।
২ বছর ১২,০০০ হাজার টাকা জমা করি কিন্তু রিসিট পাই না।
৯/ লতিফা বেগম
স্বামীঃ হাফিজুর হক
সাং- বর্নি , টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭৯৬২৩৫৬১২ তিনি বলেন আমাকে ও
৩ বছর বিমা পলিসি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ বছর করে দেন।
৩ বছর টাকা জমা করি কিন্তু রিসিট পাই না।
৩ বছরে ৩৬০০০ হাজার টাকা জমা করি কিন্তু প্রথম বছরে জমা দেওয়া টাকার রিসিট পাই আর বাকি ২ বছরের জমার রিসিট পাই না। ওনারা আমার একই পরিবারে দুই টা বীমা পলিসি করে দেন কিন্তু রিসিট দেয় না।
১০/ সাবিনা বেগম
পিতাঃ মন্ঠু মিয়া শেখ
সাং- বর্নি , টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।তিনি বলেন আমি তাদের কথা অনুযায়ী
প্রতি বছর ৭০০০ হাজার টাকা করে জমা করি কিন্তু রিসিট পাই না।
ভুক্তভুগীরা সকলে রুপালী মধুমতি সার্ভিস সেল কুটি কমিশনারের বিল্ডিংএর ২য় তলায় অফিসের সিনিয়র জেলারেল ম্যানেজার আবু সাঈদ ও মাঠকর্মী লাভলী, হালিমা, শারমীন।এর প্রতারণার শিকার।
এ ব্যাপারে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারে আবু সাঈদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি সাংবাদিকদের কে কোন জবাব দিতে বাধ্য নই কারন আমি টুঙ্গীপাড়ার সাংবাদিকদের কে ভালো করে চিনি, এছাড়াও আমার বিচার আমার কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকতা বিশেষকরে পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তা ব্যাতীত কোন সরকারী প্রশাসন ও জরার এখতিয়ার রাখেনা।তবে আমাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখিত নোঠিশ করেছেন, আমি যা বলার তাকে বলবো।পরবর্তীতে জানাযায় যে, তারিখ ১০-০৩–২০২৫ ইং রোজ সোমবার উক্ত অফিসের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু সাঈদ (ইউএনও) উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দপ্তরে হাজির হলে সেখানে ভুক্তভোগী গরীব অসহায় গ্রাহকগন ও হাজির হন।সকলের উপস্থিতিতে ইউএনও মহোদয় আবু সাঈদ কে হ্মমা চাওয়া সহ এক সপ্তাহের সময়ের মধ্যে সকলের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় জনাব মোঃ মঈনুল হক টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই মানবিক সকল কার্যক্রম সহ আইনী পদহ্মেপ গ্রহণে সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে বদ্ধপরিকর এটা বার বার প্রমানিত। রুপালী মধুমতি সার্ভিস সেলের প্রতারণার শিকার হওয়া সকল গ্রাহক এবং
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শুশিল সমাজ তার এই
বিচারিক ন্যায়ের ভূমিকা পালন করায় ব্যাপক প্রশংসা জানিয়েছেন।