০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভেড়ামারায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ০৪:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ৫০৩৬ সময় ভিজিটর

মোঃ জহুরুল ইসলাম
নিজ সংবাদ ঃ।
কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। এ নিয়ে এলাকাবাসী বার বার প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়লেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীর পারের মানুষদের থাকার মত কোন জায়গা থাকবে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা নতুনপাড়া নিমতলা বাঁধা এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে নদী। এ নদীর পাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বসতবাড়ি ও ফসলী জমি। বিগত বছরে এ নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করার ফলে ইতিমধ্যে অনেক কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকাবাসী। এবছরও শুরু হয়েছে এ নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করায় নদীর পাড়ের বসতিরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেই সাথে নদীর পাড় ঘেসে রয়েছে বাজার মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বালু উত্তোলনের ফলে ধুলা বালির কারনে সড়ক দিয়ে চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে সাধারন মানুষদের। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,পদ্মা নদী থেকে ভেকু দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন প্রায় শত শত ট্রাক ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এ নদী থেকে বিগত দিনগুলোতে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ে অনেক কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় সারা বছর ধরেই কোন না কোন প্রভাবশালী মহল এ নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।এলাকাবাসী জানায়,এ নদী থেকে প্রতি বছর প্রভাবশালী
এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রবাজ তুষার আহমেদ,রনজু আহমেদ,সাগর হোসেন,ফারুক হোসেন,রুবেল আলী,ইব্রাহিম আলী,সাব্বির আলী,মান্নান মলদার, সওদাগর অস্ত্রের মুখে এ ঘাট চালাচ্ছে। কেউ কিছু বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।গত ৬ মার্চ রায়টা বটতলা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ভীতি সঞ্চার করে।বর্তমানে জনসাধারণ আতঙ্কে রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কৌশলী দুর্বৃত্তরা।রায়টাতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গত আওয়ামীলীগ ও জাসদ সমর্থিত অস্ত্রবাজ ক্যাডার বাহিনী  আওয়ামী সরকার পতনের পর বর্তমান ক্ষমতাবাজ প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দিন রাত্রি সারাক্ষণ অবৈধভাবে বালুমাটি উত্তোলন করছে যাতে করে হিমকির মধ্যে পড়েছে রায়টা পুলিশ ফাঁড়ি, রায়টা হাইস্কুল,রায়টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহি রায়টা পুরাতন রেলষ্টেশন সংলগ্ন বটতলা বাজার সহ অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা কবরস্থান,বসতবাড়ী রয়েছে যা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাস চাই এ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হোক।

এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে রাজী হয়নি।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভেড়ামারা উপজেলা বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রাইটা এলাকায় পদ্মা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতি কিংবা নদী খনন প্রকল্প নেই। যারা এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে তা সম্পূর্ন অবৈধ। আমি এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে দ্রুত এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান এই বিষয়টা আমারে জানা নাই আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

ভেড়ামারায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

আপলোডের সময় ০৪:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

মোঃ জহুরুল ইসলাম
নিজ সংবাদ ঃ।
কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। এ নিয়ে এলাকাবাসী বার বার প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়লেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীর পারের মানুষদের থাকার মত কোন জায়গা থাকবে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা নতুনপাড়া নিমতলা বাঁধা এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে নদী। এ নদীর পাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বসতবাড়ি ও ফসলী জমি। বিগত বছরে এ নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করার ফলে ইতিমধ্যে অনেক কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকাবাসী। এবছরও শুরু হয়েছে এ নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করায় নদীর পাড়ের বসতিরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেই সাথে নদীর পাড় ঘেসে রয়েছে বাজার মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বালু উত্তোলনের ফলে ধুলা বালির কারনে সড়ক দিয়ে চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে সাধারন মানুষদের। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,পদ্মা নদী থেকে ভেকু দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন প্রায় শত শত ট্রাক ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এ নদী থেকে বিগত দিনগুলোতে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ে অনেক কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় সারা বছর ধরেই কোন না কোন প্রভাবশালী মহল এ নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।এলাকাবাসী জানায়,এ নদী থেকে প্রতি বছর প্রভাবশালী
এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রবাজ তুষার আহমেদ,রনজু আহমেদ,সাগর হোসেন,ফারুক হোসেন,রুবেল আলী,ইব্রাহিম আলী,সাব্বির আলী,মান্নান মলদার, সওদাগর অস্ত্রের মুখে এ ঘাট চালাচ্ছে। কেউ কিছু বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।গত ৬ মার্চ রায়টা বটতলা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ভীতি সঞ্চার করে।বর্তমানে জনসাধারণ আতঙ্কে রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কৌশলী দুর্বৃত্তরা।রায়টাতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গত আওয়ামীলীগ ও জাসদ সমর্থিত অস্ত্রবাজ ক্যাডার বাহিনী  আওয়ামী সরকার পতনের পর বর্তমান ক্ষমতাবাজ প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দিন রাত্রি সারাক্ষণ অবৈধভাবে বালুমাটি উত্তোলন করছে যাতে করে হিমকির মধ্যে পড়েছে রায়টা পুলিশ ফাঁড়ি, রায়টা হাইস্কুল,রায়টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহি রায়টা পুরাতন রেলষ্টেশন সংলগ্ন বটতলা বাজার সহ অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা কবরস্থান,বসতবাড়ী রয়েছে যা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাস চাই এ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হোক।

এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে রাজী হয়নি।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভেড়ামারা উপজেলা বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রাইটা এলাকায় পদ্মা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতি কিংবা নদী খনন প্রকল্প নেই। যারা এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে তা সম্পূর্ন অবৈধ। আমি এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে দ্রুত এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান এই বিষয়টা আমারে জানা নাই আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে