০৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে ক্ষতিকর তামাক,

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ০৪:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ৫০৩৬ সময় ভিজিটর

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল হাসান

কমছে জমির উর্বরতা। অধিক লাভের আশায় তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক। শিশুসহ সাধারণ মানুষ রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তামাক চাষে পরিবেশে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। তামাক বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়ায় অন্যন্য ফসল উৎপাদনে অনিহা কৃষকের। তামাক চাষে কমছে জমির উর্বরতা শক্তি। তামাকের বিষক্রিয়ার কারণে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি কৃষক পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন -তামাক উৎপাদনের আগে কোম্পানিগুলোর দর নির্ধারণ, বিক্রির নিশ্চয়তা,চাষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ,কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দেওয়া তামাক চাষ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।

আগে উপজেলার যেসব আবাদি জমিতে ধান, গম, পাট, ও সরিষা সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে। তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভন ও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও তারা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে কৃষকরা জানান।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল খান বলেন-

সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার মাজরা,মহানাগ,কাশিয়ানী,শৈলেরকুল নামক এলাকার উর্বর জমিগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলছে তামাক চাষ।

উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের কৃষক তামাক চাষী কায়েসুর রহমান জানান-সিগারেট কোম্পানির মাধ্যমে তামাক চাষিদের জন্য একর প্রতি জমিতে বীজ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, উৎপাদিত তামাক সঠিক মূল্যে কৃষকের বাড়ি থেকে কেনার নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়। তামাক চাষে উৎসাহিত করেছে টোবাকো কোম্পানির স্থানীয় এক কর্মকর্তা।

কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. ইজাজুল করিম বলেন,
চলতি বছরে উপজেলার জিকাবাড়ী ৫ হেক্টর, মাহমুদপুর ১ হেক্টর গোয়ালগ্রাম ১ হেক্টর মাজরা ১ হেক্টর মোট ৮ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে – আমরা প্রতিনিয়তই সচেতন করছি তবে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষক ঝুকছে এ ক্ষতিকর তামাক চাষে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে ক্ষতিকর তামাক,

আপলোডের সময় ০৪:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল হাসান

কমছে জমির উর্বরতা। অধিক লাভের আশায় তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক। শিশুসহ সাধারণ মানুষ রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তামাক চাষে পরিবেশে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। তামাক বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়ায় অন্যন্য ফসল উৎপাদনে অনিহা কৃষকের। তামাক চাষে কমছে জমির উর্বরতা শক্তি। তামাকের বিষক্রিয়ার কারণে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি কৃষক পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন -তামাক উৎপাদনের আগে কোম্পানিগুলোর দর নির্ধারণ, বিক্রির নিশ্চয়তা,চাষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ,কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দেওয়া তামাক চাষ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।

আগে উপজেলার যেসব আবাদি জমিতে ধান, গম, পাট, ও সরিষা সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে। তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভন ও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও তারা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে কৃষকরা জানান।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল খান বলেন-

সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার মাজরা,মহানাগ,কাশিয়ানী,শৈলেরকুল নামক এলাকার উর্বর জমিগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলছে তামাক চাষ।

উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের কৃষক তামাক চাষী কায়েসুর রহমান জানান-সিগারেট কোম্পানির মাধ্যমে তামাক চাষিদের জন্য একর প্রতি জমিতে বীজ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, উৎপাদিত তামাক সঠিক মূল্যে কৃষকের বাড়ি থেকে কেনার নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়। তামাক চাষে উৎসাহিত করেছে টোবাকো কোম্পানির স্থানীয় এক কর্মকর্তা।

কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. ইজাজুল করিম বলেন,
চলতি বছরে উপজেলার জিকাবাড়ী ৫ হেক্টর, মাহমুদপুর ১ হেক্টর গোয়ালগ্রাম ১ হেক্টর মাজরা ১ হেক্টর মোট ৮ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে – আমরা প্রতিনিয়তই সচেতন করছি তবে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষক ঝুকছে এ ক্ষতিকর তামাক চাষে