মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : খুলনায় দিনে দুপুরে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ট্যালক লরি মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব এবং ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য ফরহাদ হোসেন সহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বিকাল ৪ টার দিকে নগরীর খালিশপুর থানার যমুনা রোডের মালা গ্যারেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ফরহাদ শেখ উওর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা আকমান শেখের ছেলে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্য আহতরা হলেন, ফরহাদ হোসেনের ড্রাইভার মো: মনিরুল ইসলাম এবং তার ম্যানেজার সোহেল। স্থানীয়রা জানান, আজ বিকাল ৪ টার দিকে জালানী তেল ডিপো যমুনা দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ফরহাদ ও তার সহযোগীরা। এসময়ে কয়েকটি ব্যারেল নিয়ে ছোট একটি পিকআপে তাদের গতি রোধ করে। পিকআপের সামনে বসে থাকা একজন শর্টগান বের করে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করতে গেলে বিষয়টি ড্রাইভার মনিরুল টের পেয়ে গাড়িটি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে পেছনের দিকে যেতে তাকে। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা অন্যান্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে। পরবর্তীতে ড্রাইভার মেঘনা হয়ে ফরহাদ হোসেনের বাড়ি নিয়ে যান। শর্টগানের গুলির ছররা ফরহাদ হোসেনের বাম কানে এবং মাথার ডান পাশের চামড়া ছুয়ে যায়। ঘটনাক্রমে তিনি বেচে যান। এ ঘটনায় ফরহাদ হোসেনের ড্রাইভার মো: মনিরুল ইসলামের বাম হাতে এবং তার ম্যানেজার মো: সোহেলের পিঠে শর্টগানের গুলি লাগে। স্থানীয়রা আরো জানান, তাদের সকলের মুখে মাস্ক পরা ছিল। ৩ টি মোটরসাইকেলে ৬ জন যুবক তাদের গুলি করতে করতে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ( উওর) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে ৫- ৬ টি গুলি করে। তাদের গাড়ির কাচ ভেদ করে ফরহাদ হোসেন, তার ড্রাইভার মো: মনিরুল ইসলাম এবং ম্যানেজার মো: সোহেল আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। তদন্ত করছি। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।