০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশিয়ানীতে সরকারি জমি ফাঁকা থাকলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ।

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – বিশেষ প্রতিনিধি।

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সিঙ্গা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আন্দারকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনাহীনভাবে এবং সরকারি জমি থাকার পরও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় এক কন্ট্রাক্টর আলম কোনো ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়গার প্রকৃত মালিকরা বাধা দিলে কন্ট্রাক্টর আলম তাদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা কাশিয়ানী উপজেলার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে রামদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের কাছেও আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানান তারা।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, কেবল জমি দখলই নয়, কন্ট্রাক্টর আলম জোরপূর্বক লাগানো গাছ কেটে ফেলেছেন এবং ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে রাস্তা ভরাট করছেন।

ঘটনার বিষয়ে কন্ট্রাক্টর আলমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

সরকারি জমি ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘু মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ, হুমকি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

কাশিয়ানীতে সরকারি জমি ফাঁকা থাকলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ।

আপলোডের সময় ০৫:৩১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – বিশেষ প্রতিনিধি।

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সিঙ্গা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আন্দারকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনাহীনভাবে এবং সরকারি জমি থাকার পরও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় এক কন্ট্রাক্টর আলম কোনো ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়গার প্রকৃত মালিকরা বাধা দিলে কন্ট্রাক্টর আলম তাদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা কাশিয়ানী উপজেলার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে রামদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের কাছেও আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানান তারা।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, কেবল জমি দখলই নয়, কন্ট্রাক্টর আলম জোরপূর্বক লাগানো গাছ কেটে ফেলেছেন এবং ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে রাস্তা ভরাট করছেন।

ঘটনার বিষয়ে কন্ট্রাক্টর আলমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

সরকারি জমি ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘু মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ, হুমকি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।