
মীর রাজিবুর হাসান নাজমুল : ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বের অনেক দেশের মতো আজ শনিবার সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সৌদি আরবসহ অনেক দেশের একদিন পর আজ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। মূলত চন্দ্র মাস জিলহজ্বের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয় সারা বিশ্বে। ঈদের আগে সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন হাজীরা। এদিন সকল মুসলিমরা সকালেই ঈদের জামাতে নামাজ আদায় শেষে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছেন। তবে ওজর থাকলে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশই ৬ জুন ঈদ উদযাপন করেছে। ভৌগোলিক কারণে কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে ইউরোপ, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায়, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকার অনেক দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা ঈদ উদযাপন করেছেন।বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, ব্রুনেই এবং মালয়েশিয়ায় ঈদ উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে আজ। তবে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলার কিছু জায়গার মুষ্টিমেয় মুসলিম সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। ঈদুল আজহায় জামাতে কোটি কোটি মুসল্লি অংশগ্রহণ করে থাকেন দেশের ঈদগাহগুলোতে। তবে সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ হলো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ। এর পরই রয়েছে দিনাজপুরের গোড় এ শহীদ ময়দান মাঠ। এসব ঈদগাহে লাখ লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেন।
দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল আজহায় পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায় এবং পরবর্তী চারটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলায় মুসল্লিরা প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্ততিতে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। ঈদ শুধুই ব্যক্তিগত খুশির সময় নয়, এটি একসাথে উদযাপনের উৎসব। এই ঈদে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করব। এদিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার মসজিদে কুবায় ঈদরে সালাত আদায় করেন ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল। মসজিদে কুবার ঈদের জামাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা সাদিক হুসাইন। এছাড়া উৎস ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে ন্যায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মধ্যম সোনাতন কটিতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামাত পরিচালনা করেন মুফতি রিয়াজ খান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, ঈদগা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ- সভাপতি ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্ঠ মীর সাফায়েত আলী, উপদেষ্টা শেখ আফজাল হোসেন, মীর হিজবুল্লা, শেখ আনামা আলী,মোঃ রওনকুল ইসলাম খান, ঈদগা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর রাজিবুল হাসান নাজমুল,অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মীর আলমগীর হোসেন, সাহেব আলী চৌধুরী, হারুন আকঞ্জি, মীর তৈবুর, মীর ইসলাম, মীর আশরাফুর রহমান, মীর মিনারুল ইসলাম, শেখ হাবিবুর রহমান, শেখ মুরাদ হোসেন, শেখ তহিদ, মীর সাইফুল ইসলাম, শেখ আজারুল ইসলাম, শেখ আলাউদ্দিন, মীর শরিফুল ইসলাম, অসীম চৌধুরী, আমের আলী চৌধুরী, মীর জেসান হোসেন তৃপ্তি, শেখ আলমগীর হোসেন, মীর বাবু, মীর ইয়াসিন, ফাদ আলী প্রমূখ। ঈদের নামাজ শেষে জমি দাদা শেখ আকবর হোসেনের পিতা-মাতাসহ এলাকাবাসীর মৃত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এ ভাবে দেশের সব যায়গায় ছোট বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।