০২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ।

  • প্রতিনিধির নামঃ
  • আপলোডের সময় ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • ৫০২১ সময় ভিজিটর

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈর ওপর মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারীরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চিকিৎসাসেবা বন্ধের ঘোষণা দেন। তবে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাসের আশ্বাসে তারা কাজে ফিরে যান।

জানা গেছে, ঘটনার সময় চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় পৌর এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার (২৫) রুমের দরজা বন্ধ করে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। আহত চিকিৎসককে হাসপাতালেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মারধরকারী সোহেলের অভিযোগ, তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় সন্তান মারা গেছে, সে কারণেই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে মারধর করেন।

হাসপাতালের কর্মচারীরা অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।” তিনি আরও জানান, তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী প্রসবের ৩-৪ দিন আগেই গর্ভে সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

বটিয়াঘাটা গোসলের সময় পানিতে এক শিশুর মৃত্যু।

গোপালগঞ্জে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ।

আপলোডের সময় ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈর ওপর মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারীরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চিকিৎসাসেবা বন্ধের ঘোষণা দেন। তবে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাসের আশ্বাসে তারা কাজে ফিরে যান।

জানা গেছে, ঘটনার সময় চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় পৌর এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার (২৫) রুমের দরজা বন্ধ করে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। আহত চিকিৎসককে হাসপাতালেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মারধরকারী সোহেলের অভিযোগ, তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় সন্তান মারা গেছে, সে কারণেই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে মারধর করেন।

হাসপাতালের কর্মচারীরা অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।” তিনি আরও জানান, তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী প্রসবের ৩-৪ দিন আগেই গর্ভে সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল।