বিশেষ প্রতিনিধি,
টুঙ্গিপাড়ায় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন মো. ইয়েন মুন্সী। এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা ও টুঙ্গিপাড়া পৌর শাখার উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি বর্তমানে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের পোস্টার ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। একটি পোস্টারে শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইয়েন মুন্সী, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। অন্যদিকে, আরেকটি পোস্টারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে, যেখানে তিনি নিজেকে “টুঙ্গিপাড়া পৌর ছাত্রদল” নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ওপর হামলায় উপস্থিত থাকার অভিযোগও রয়েছে। ওই ঘটনায় নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার।
বর্তমানে ইয়েন মুন্সীকে নিয়মিত ছাত্রদলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে এবং তিনি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রশ্ন—একজন ব্যক্তি কি এত সহজেই রাজনৈতিক পরিচয় বদলাতে পারেন? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষণাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে, যেখানে তিনি বলেছিলেন:
“ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর বিএনপিতে স্থান নেই।”
এমন অবস্থায় দলের ভেতরে-বাইরে প্রশ্ন উঠছে—দলীয় নীতি ও আদর্শ উপেক্ষা করে বিতর্কিত অতীত ও দ্বৈত অবস্থানসম্পন্ন একজন ব্যক্তিকে সংগঠনে জায়গা দেওয়ার যৌক্তিকতা কতটুকু?