০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে ৫

নিজ সংবাদ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পর্নোগ্রাফি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, কুমারখালীর দুর্গাপুর গ্রামের আশিকুর রহমান সজীব (৩৭), শিলাইদহের নাওতি গ্রামের আবু জাফর, একই ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামের তারেক মন্ডল, নয়ন শেখ ও ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার পুরাতন মালিথীয়ার রাব্বি মল্লিক।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর ভাই, ভগ্নীপতি ও মামলার প্রধান আসামি মনসুর আলী সৌদি আরবে থাকেন। ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে ভিডিও কলে কথা বলতেন মনসুর। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গভীর সম্পর্ক হয়। ইমু কলে অশ্লীল ভিডিওতে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। পরে ওই নারীর সঙ্গে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে ভুক্তভোগীকে হয়রানি করা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে ওই নারীর কাছে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন মনসুর। এর জেরে ভুক্তভোগী কুমারখালী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি সৌদিতে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

কুষ্টিয়ায় পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে ৫

আপলোডের সময় ০৪:২৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

নিজ সংবাদ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পর্নোগ্রাফি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, কুমারখালীর দুর্গাপুর গ্রামের আশিকুর রহমান সজীব (৩৭), শিলাইদহের নাওতি গ্রামের আবু জাফর, একই ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামের তারেক মন্ডল, নয়ন শেখ ও ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার পুরাতন মালিথীয়ার রাব্বি মল্লিক।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর ভাই, ভগ্নীপতি ও মামলার প্রধান আসামি মনসুর আলী সৌদি আরবে থাকেন। ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে ভিডিও কলে কথা বলতেন মনসুর। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গভীর সম্পর্ক হয়। ইমু কলে অশ্লীল ভিডিওতে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। পরে ওই নারীর সঙ্গে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে ভুক্তভোগীকে হয়রানি করা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে ওই নারীর কাছে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন মনসুর। এর জেরে ভুক্তভোগী কুমারখালী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি সৌদিতে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।