০৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন।

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – বিশেষ প্রতিনিধি:

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চাকরি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকার মতিঝিলে পাট অধিদপ্তরের সামনে এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনটির আয়োজন করে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস)। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাপ্তাহিক আধুনিক সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং এনপিএস-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মাহবুবুল ইসলাম।

বক্তারা অভিযোগ করেন,পাট অধিদপ্তরের উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ভুয়া সনদ ও জালিয়াতির মাধ্যমে তার পিতা মীর শওকত আলীকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ২২তম বিসিএসে চাকরি নেন। এ প্রক্রিয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন l যা সরাসরি রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন: দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাহবুবুল আলম আব্বাসি, দৈনিক আমার সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক পাটোয়ারী, দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও ওয়ার্ল্ড মিডিয়া ক্লাবের মহাসচিব সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া,সাপ্তাহিক বার্তা বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক নুরুল ইসলাম রকি, আধুনিক সংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মাসুম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক সম্রাট,সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী মোছাঃ শারহিন আক্তার ও মরিয়ম আক্তার মারিয়া প্রমুখ l

বক্তারা দাবি জানান— সৈয়দ ফারুক আহম্মদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন, আত্মসাৎকৃত সমস্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত আনা, তার এবং পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং চাকরি থেকে অপসারণ করে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।

বক্তারা আরো বলেন, একটি স্বাধীন দেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানকে কলঙ্কিত করে কেউ যদি প্রতারণার আশ্রয় নেয়,তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

মানববন্ধন শেষে আয়োজকরা ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার সিদ্ধান্ত নেন । শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি সচেতন সাংবাদিক সমাজের একটি দৃপ্ত অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন।

আপলোডের সময় ০২:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – বিশেষ প্রতিনিধি:

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চাকরি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকার মতিঝিলে পাট অধিদপ্তরের সামনে এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনটির আয়োজন করে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস)। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাপ্তাহিক আধুনিক সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং এনপিএস-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মাহবুবুল ইসলাম।

বক্তারা অভিযোগ করেন,পাট অধিদপ্তরের উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ভুয়া সনদ ও জালিয়াতির মাধ্যমে তার পিতা মীর শওকত আলীকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ২২তম বিসিএসে চাকরি নেন। এ প্রক্রিয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন l যা সরাসরি রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন: দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাহবুবুল আলম আব্বাসি, দৈনিক আমার সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক পাটোয়ারী, দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও ওয়ার্ল্ড মিডিয়া ক্লাবের মহাসচিব সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া,সাপ্তাহিক বার্তা বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক নুরুল ইসলাম রকি, আধুনিক সংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মাসুম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক সম্রাট,সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী মোছাঃ শারহিন আক্তার ও মরিয়ম আক্তার মারিয়া প্রমুখ l

বক্তারা দাবি জানান— সৈয়দ ফারুক আহম্মদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন, আত্মসাৎকৃত সমস্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত আনা, তার এবং পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং চাকরি থেকে অপসারণ করে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।

বক্তারা আরো বলেন, একটি স্বাধীন দেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানকে কলঙ্কিত করে কেউ যদি প্রতারণার আশ্রয় নেয়,তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

মানববন্ধন শেষে আয়োজকরা ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার সিদ্ধান্ত নেন । শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি সচেতন সাংবাদিক সমাজের একটি দৃপ্ত অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।