০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিপাবলিক যথার্থ অর্থে কার্যকর করা যেতে পারে : জেএসএফ বাংলাদেশ।

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ পক্ষথেকে। হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গত ৮ মার্চ ,শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন , আমরা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে উত্তাল সময় পার করছি। নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ ও অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এসে দাঁড়িয়েছে সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। এ সম্ভাবনা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও এর রাজনীতিকে ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা। ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের পুনরুত্থানের আশঙ্কা মোকাবেলার আলোচনায় আমাদের এ দিকটি মনে রাখা জরুরি। তবে এ সম্ভাবনার পাশাপাশি অনিশ্চয়তাও রয়েছে।নাগরিকের কাছে জবাবদিহির প্রাথমিক শর্ত হলো যেকোনো দল ক্ষমতায় যেতে চাইলে অবাধ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে হবে। খবর বাপসনিউজ।

জেএসএফ বাংলাদেশ বিবৃতিতে আরো বলেছে , রিপাবলিকের মৌলিক ভিত্তি যে নাগরিক সার্বভৌমত্ব, তাকে অগ্রাহ্য করে অনেক রিপাবলিকে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অব্যাহত থেকেছে। এ ধরনের স্বৈরাচারী ব্যবস্থা একসময় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এ ছাড়া একদলীয় ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের সাধারণ উপাদানগুলো লঙ্ঘিত হয়েছে।

জেএসএফ বাংলাদেশ বিবৃতিতে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র বিনির্মানের লক্ষে বিবৃতিতে বলেছে , আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি , জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান শুধু একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন আমরা এক সাথে হাতে হাত রেখে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারের সংগ্রামই হবে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই সময় নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথ চলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এই নতুন বাংলাদেশ গড়ায় আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে শপথ করি। ঐক্যবদ্ধ হই এবং আমাদের কাক্সিক্ষত সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে তরুণদের পক্ষ থেকে যখন সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়, তখন তার তাৎপর্য গভীরভাবে পর্যালোচনার দাবি রাখে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় পোস্ট

খুলনা-১ আসনের ধানেরশীষ প্রতিকের সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান’র বাসভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়।

রিপাবলিক যথার্থ অর্থে কার্যকর করা যেতে পারে : জেএসএফ বাংলাদেশ।

আপলোডের সময় ০১:০০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ পক্ষথেকে। হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গত ৮ মার্চ ,শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন , আমরা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে উত্তাল সময় পার করছি। নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ ও অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এসে দাঁড়িয়েছে সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। এ সম্ভাবনা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও এর রাজনীতিকে ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা। ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের পুনরুত্থানের আশঙ্কা মোকাবেলার আলোচনায় আমাদের এ দিকটি মনে রাখা জরুরি। তবে এ সম্ভাবনার পাশাপাশি অনিশ্চয়তাও রয়েছে।নাগরিকের কাছে জবাবদিহির প্রাথমিক শর্ত হলো যেকোনো দল ক্ষমতায় যেতে চাইলে অবাধ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে হবে। খবর বাপসনিউজ।

জেএসএফ বাংলাদেশ বিবৃতিতে আরো বলেছে , রিপাবলিকের মৌলিক ভিত্তি যে নাগরিক সার্বভৌমত্ব, তাকে অগ্রাহ্য করে অনেক রিপাবলিকে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অব্যাহত থেকেছে। এ ধরনের স্বৈরাচারী ব্যবস্থা একসময় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এ ছাড়া একদলীয় ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের সাধারণ উপাদানগুলো লঙ্ঘিত হয়েছে।

জেএসএফ বাংলাদেশ বিবৃতিতে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র বিনির্মানের লক্ষে বিবৃতিতে বলেছে , আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি , জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান শুধু একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন আমরা এক সাথে হাতে হাত রেখে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারের সংগ্রামই হবে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই সময় নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথ চলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এই নতুন বাংলাদেশ গড়ায় আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে শপথ করি। ঐক্যবদ্ধ হই এবং আমাদের কাক্সিক্ষত সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে তরুণদের পক্ষ থেকে যখন সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়, তখন তার তাৎপর্য গভীরভাবে পর্যালোচনার দাবি রাখে।